ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির চুক্তির অংশ হিসেবে দখলদারের কারাগার থেকে নতুন করে মুক্তি পেয়েছেন ১১০ ফিলিস্তিনি নাগরিক।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) ওফার কারাগার থেকে ছাড়া পান এসব ফিলিস্তিনি।
এরআগে, তিন ইসরায়েলি জিম্মি ও থাইল্যান্ডের পাঁচ নাগরিকসহ মোট আটজনকে মুক্তি দেয় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসলামিক জিহাদ। তাদের মধ্যে সাতজনকে গাজার খান ইউনিসে রেডক্রসের হাতে হস্তান্তর করে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা। ওই সময় সেখানে শত শত মানুষ জড়ো হন। এতে করে জিম্মিদের মুক্তি দিতে বেগ পেতে হয় তাদের। এ কারণে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি আটকে দিয়েছিলেন দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর কাছে দাবি করেন, পরবর্তীতে যেসব জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে, ওই সময় যেন এমন জনবহুল জায়গায় হস্তান্তর প্রক্রিয়া না করা হয়। তার দাবি, এতে করে জিম্মিদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ে।
লন্ডনভিত্তিক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যেসব বন্দি ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন তাদের কেউ কেউ পশ্চিমতীরের রামাল্লাহ এবং গাজায় গেছেন। তবে মুক্তি পাওয়া বন্দিদের পরিবার যেন কোনো ধরনের উদযাপন না করতে পারেন সেজন্য হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে ইসরায়েলি সেনারা। এমনকি উদযাপনের কারণে জেরুজালেম থেকে ১২ জনকে গ্রেপ্তারও করেছে তারা।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় ড্রোনের মাধ্যমে ‘উদযাপন না করার সতর্কতা দিয়ে’ লিফলেট ফেলেছে ইসরায়েল। তবে ইসরায়েলি হুমকি উপেক্ষা করেই রামাল্লার সাধারণ মানুষকে উদযাপন করতে দেখা গেছে। তবে দখলদার ইসরায়েল যেসব ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছেন তার মধ্যে যাবজ্জীবন দণ্ড প্রাপ্তরাও আছেন। তবে এসব ফিলিস্তিনিকে পশ্চিমতীরে যেতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল। ফলে তাদের মিসর অথবা গাজায় পাঠানো হচ্ছে।