সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে যারা যেভাবে জড়িত তাদের সবাইকেই আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
শনিবার (৮ জুন) মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, ‘আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে আমাদের কাছে তিনজন গ্রেফতার রয়েছেন। ভারতে গ্রেফতার রয়েছেন দুজন। এছাড়া এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা যেভাবে জড়িত তাদের সবাইকেই আইনের আওতায় আনা হবে।’
তিনি বলেন, ‘এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের মেয়ে শিগগির কলকাতায় যাবেন এবং ডিএনএ স্যাম্পল দেবেন।’
হারুন অর রশীদ বলেন, ‘ঝিনাইদহ থেকে আমরা কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুকে আটক করে এনেছি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি, এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেফতার দেখায়নি।’
আক্তারুজ্জামান শাহীন সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘শাহীন কাঠমান্ডু থেকে দুবাই হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছেন। শাহীনের বিষয়ে ভারতীয় পুলিশকে আমরা জানিয়েছি। শাহীন ভারতীয় পুলিশের কাছে মোস্ট ওয়ান্টেড। পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশের এনসিবির মাধ্যমে যাবতীয় তথ্য পাঠিয়েছি। ইন্টারপোলকে এনসিবি অবহিত করেছে। এছাড়া বাংলাদেশে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলবো।’
ডিবিপ্রধান আরও বলেন, ‘সিয়াম ও জিহাদ কলকাতা পুলিশের হাতে (গ্রেফতার) রয়েছেন। আনারকে পৈশাচিক কায়দায় হত্যা করে মরদেহ গুমের ঘটনা জানেন সিয়াম ও জিহাদ। এ দুজনকে নিয়ে অভিযান চালালে ভালো রেজাল্ট পাওয়া যেতে পারে। প্রয়োজনবোধে আমরাও সিয়ামকে জিজ্ঞাসাবাদ করবো।’
ডিবির হাতে যে তিনজন গ্রেফতার রয়েছেন তদন্তের স্বার্থে ভারতীয় পুলিশ চাইলে তাদের নিতে পারবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে হারুন অর রশীদ বলেন, ‘ভারতীয় পুলিশ প্রয়োজন মনে করলে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবে। আমরাও যদি প্রয়োজন মনে করি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তাদের (ভারতে গ্রেফতার আসামিদের) জিজ্ঞাসাবাদ করবো। আমরা যখন ভারতে গিয়েছিলাম তখন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই গিয়েছিলাম।