আগামী ২৩ অক্টোবর বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। ২৩ বা ২৪ অক্টোবর নাগাদ একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে সেটি।  ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এটির নাম হবে ‘ডানা’।  বাংলাদেশের উপকূলে এটি ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার আঘাত হানাতে পারে। আবহাওয়া সংস্থার সতর্কবার্তায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

জানা যায়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে দেশজুড়ে বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী কয়েক দিনে লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে আভাস মিলেছে।  এদিকে ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হলে কোন উপকূলে আঘাত হানতে পারে, সে ব্যাপারেও পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে, সম্ভাব্য গতিপথ হিসেবে বাংলাদেশের বরিশাল ও খুলনা বিভাগ এবং ভারতের ওড়িশা রাজ্যের কথা জানা গেছে।

বলা হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়টি যদি বরিশাল এবং খুলনা বিভাগের কোনো উপকূলে আঘাত হানে সে ক্ষেত্রে এর গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। যদি ভারতের ওড়িশায় আঘাত হানে তাহলে এর বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৩০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার।

সম্প্রতি কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ এক ফেসবুক পোস্টে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলের বরাত দিয়ে বলেন, ২১ থেকে ২৬ অক্টোবরের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে পারে। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি কম কিংবা মাঝারি শক্তিসম্পন্ন হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে তা ২৪ বা ২৫ অক্টোবর উপকূলে আঘাত করতে পারে। তবে স্থান-কাল নির্দিষ্ট করে বলতে হলে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন জানান, যে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে, সেটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এখন পর্যন্ত এতটুকু বোঝা যাচ্ছে। সাধারণত ২৪ ঘণ্টা আগে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে ঘূর্ণিঝড়ের আপডেট দেওয়া হয়ে থাকে। তবে এখন দায়িত্বশীল জায়গা থেকে এই লঘুচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে কি না, সেটি নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে, একটা আশঙ্কা রয়েছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *