প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনার সঙ্গে সমানে সমান লড়াই করেছিল কানাডা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের কৌশলের সঙ্গে পেরে ওঠেনি তারা। কানাডাকে ২-০ গোলে হারিয়ে কোপা আমেরিকায় শুভসূচনা করেছে আর্জেন্টিনা।
কোপা আমেরিকার উদ্বোধনী ম্যাচে কানাডার বিপক্ষে শুরুটা ভালো করলেও গোলের দেখা পায়নি মেসির আর্জেন্টিনা। মেসিদের সমান ৭টি শট নেয় কানাডাও। যদিও বল পজিশনে এগিয়ে ছিল বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
প্রথমার্ধের পঞ্চম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে আর্জেন্টিনার লিওনার্দো পারেদেসের জোরালো শট পোস্টের একটু ওপর দিয়ে চলে যায়। দশম মিনিটে মেসি গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন। কাটিয়ে শটও নেন। কিন্তু সেটি পোস্টের ডানদিক ঘেঁষে চলে যায়। এদিকে অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি।
এরপর কানাডাও আর্জেন্টিনার রক্ষণে ভীতি ছড়ায়। এর মধ্যে টাজন বুকাননের বাঁ পায়ের শটটি খুবই ক্লোজ ছিল। বল পোস্টের ডানপাশ দিয়ে চলে যায়।
ম্যাচে আর্জেন্টিনা সবচেয়ে সহজ সুযোগটা পায় ৪০ মিনিটের মাথায়। রড্রিগো ডি পলের ক্রস থেকে ম্যাক এলিস্টার হেড করলে গোলরক্ষক দুর্দান্তভাবে রুখে দেন।
কানাডাও প্রথমার্ধের শেষদিকে গোলের দারুণ সুযোগ পেয়েছিল। ইউসতাকিউওর হেড এমিলিয়ানো মার্টিনেজ দারুণ দৃঢ়তায় রুখে দেন। গোলশূন্য অবস্থাতেই শেষ হয় ম্যাচের প্রথমার্ধ।
তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এগিয়ে গেছে আর্জেন্টিনা। ৪৯ মিনিটে অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারের অ্যাসিস্ট থেকে ছয় গজ বক্সে বল পেয়ে ডান পায়ের শটে জাল কাঁপান জুলিয়ান আলভারেজ। ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা।
গোল খেয়ে আর্জেন্টিনার ডি বক্সে মুহুর্মুহু আক্রমণ করতে থাকে কানাডা। কিন্তু গোলমুখে তেমন শট নিতে পারছিল না তারা। উল্টো ৬৫ মিনিটে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক ও একজন ডিফেন্ডারকে পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন মেসি। তার শট ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে ফিরে আসে।
৬৭ মিনিটে গোলের সুযোগ পেয়েছিল কানাডাও। কিন্তু জোনাথন ডেভিডের শট একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৭৯ মিনিটে আবারো গোলের সুযোগ পান মেসি এবার গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল বাইরে মারেন এই মিয়ামি তারকা।
৮২ মিনিটে মেসির ক্রস থেকে গোলরক্ষককে একা পেয়েও ওটামেন্ডি হেড করেন বাইরে। এত গোলের সুযোগ মিসের দিনে অবশেষে লাউতারো মার্টিনেজ ব্যবধান বাড়ান।
৮৮ মিনিটে মেসির ক্রস থেকে গোলরক্ষকের পায়ের ফাঁক দিয়ে দারুণ ফিনিশিংয়ে দলকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন। শেষ পর্যন্ত ঐ ব্যবধানেই ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা