কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ঘন কুয়াশা এক নজিরবিহীন চিত্র তৈরি করেছে। ভোর থেকে শুরু করে ২২ জানুয়ারি সারাদিন এই কুয়াশার ঘনত্ব এতটাই বেশি ছিল যে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সূর্যের আলো দেখা যায়নি। আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা শৈত্যপ্রবাহের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

কুয়াশার কারণে মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়েছে। বিশেষ করে দিনমজুর, কৃষক, এবং নৌচালকরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ঘন কুয়াশায় পরিবহন ব্যবস্থা প্রায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে, ফলে স্কুলগামী শিক্ষার্থী ও অফিসগামী মানুষদের ভোগান্তি বেড়েছে।

এই কুয়াশার প্রভাব কেবল মানুষের জীবনযাত্রার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, কৃষি ক্ষেত্রেও এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। স্থানীয় কৃষকদের মতে, এমন দীর্ঘস্থায়ী কুয়াশা সরিষা, গম, আলু, এবং সবজি ক্ষেতের জন্য ক্ষতিকর। ফসলের পাতায় ফাঙ্গাসের আক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে, যা ফলন হ্রাস করতে পারে।
কুয়াশার চাদরে ঢাকা,নাগেশ্বরী, ফুলবাড়ী, সীমান্তে, রাজারহাট, উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী, ভেলাকোপা, মানকেরচর, মঙ্গলবার, নদী কবলিত এলাকা, জুড়ে শীতের দাপট, পার্শ্ববর্তী লালমনিরহাট জেলার একই অবস্থা ।
কৃষক আব্দুর রহিম বলেন, দুই তিন দিন ভালোই কাজ করলাম, জমিতে রোয়াগারা, জমির সাইড কাটা, সবজির জমিতে ওষুধ দেওয়া, গতকাল থেকে আজ সারাদিন বাইরে যেতে পারিনি বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে, শরীর ভিজে যাচ্ছে কুয়াশায়, তাই আজ বাড়ি হতে বের হয়নি ।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক বলেন, অনু কুয়াশার কারণে রাস্তাঘাটে দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে প্রতিদিন তাই মানুষকে ঠাণ্ডা ও কুয়াশা থেকে সুরক্ষিত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কুড়িগ্রামবাসীর কাছে আজকের দিনটি শুধুই শীতকালীন কুয়াশার প্রকট রূপ নয়, বরং মানবিক সংকটের একটি প্রতিচ্ছবিও। সাধারণ মানুষের আশা, শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশার এই দুঃসহ পরিস্থিতি দ্রুত কেটে যাবে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাটের আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র বলেন, আজ জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামীকাল কুড়িগ্রামের তাপমাত্রা আরো কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *