আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলীয় দেশ মোজাম্বিকে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় চিডোর তাণ্ডবে অন্তত ৩৪ জন নিহত হয়েছেন। ঝড়ে হাজার হাজার পরিবার তাদের বাড়ি-ঘর হারিয়েছে এবং স্কুল ও স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত বহু অবকাঠামোও ধ্বংস হয়ে গেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

দেশটির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব রিস্ক অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট (আইএনজিডি) জানিয়েছে, উত্তর মোজাম্বিকে এখন পর্যন্ত রেকর্ড করা সবচেয়ে তীব্র ঝড়গুলোর মধ্যে একটির আঘাতে কমপক্ষে ৩৪ জন মারা গেছেন।

গত রোববার ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ফরাসি দ্বীপ মায়োটে ঘূর্ণিঝড় চিডো ​​ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর মোজাম্বিকে তাণ্ডব চালায়। মায়োটে এই ঝড়ের আঘাতে শত শত এবং সম্ভবত হাজার হাজার লোকের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘণ্টায় ২২৫ কিলোমিটার (১৪০ মাইল) বেগে অঞ্চলটিতে আছড়ে পড়ে শক্তিশালী ঝড়টি। এতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় পুরো অঞ্চলটি। বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার পাশাপাশি পুরো দ্বীপটির যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভেঙে পড়ে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবের পর আইএনজিডি মোজাম্বিকের পরিস্থিতিকে হৃদয়বিদারক বলে অভিহিত করেছে এবং মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও সতর্ক করেছে।

এছাড়া চিডোর আঘাতে ৩৪ হাজারেরও বেশি মোজাম্বিক পরিবার তাদের বাড়িঘর হারিয়েছে। ঘণ্টায় প্রায় ২৬০ কিলোমিটার (১৬০ মাইল) বেগে আছড়ে পড়েছিল শক্তিশালী এই ঝড়টি।

স্কুল, স্বাস্থ্য অবকাঠামো এবং মাছ ধরার বহু নৌকাও ধ্বংস হয়ে গেছে। চিডো দেশটির উত্তরের প্রদেশগুলোতে আঘাত হানে। এই প্রদেশগুলোতে নিয়মিত ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনে থাকে।

আইএনজিডির মুখপাত্র পাওলো টমাস বলেছেন, চিডোর তাণ্ডবে নিহতদের বেশিরভাগই পড়ে যাওয়া বস্তুর আঘাতে যেমন ধ্বংসপ্রাপ্ত ইটের দেওয়াল ধসে প্রাণ হারিয়েছেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *