বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সমন্বয়ক কমিটির আরও ১৪ জন শিক্ষার্থী অপর সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
শনিবার তিন পৃষ্ঠার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তারা।
গুরুতর অভিযোগগুলোর ভেতরে রয়েছে- সমন্বয়হীনতা, নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থে কাজ করা, প্রভাব বিস্তার, অপ্রয়োজনীয় লিঁয়াজো কমিটি গঠন করা, বিচার শালিস করা, শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত তোলা, বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ এবং হল উদ্ধারের নামে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।
এর আগে শনিবার সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জবি ইউনিটকে নেতৃত্ব প্রদান করা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মো. নূর নবী সমন্বয়ক থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
সমন্বয়ক পদ থেকে সরে গেলেও যেকোনো আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করবেন বলে শনিবার সকালে তার নিজ ফেসবুক আইডিতে (Md.Nur Novi) একটি পোস্টে জানান তিনি।
কোটা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া কেন্দ্র করে গত ১৯ জুলাই ক্যাম্পাস গেট থেকে গ্রেফতার হন এই শিক্ষার্থী। পরে ডিবি অফিসে ব্যাপক নির্যাতনের শিকার হয়ে গত ৬ আগস্ট মুক্তি পান। নির্যাতনকালে পানিতে মরিচের গুড়া মিশিয়ে খেতে দেওয়া। গোপনাঙ্গে আঘাতসহ ব্যাপক নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে গত ৯ আগস্ট সংবাদ সম্মেলনে এই চিত্র তুলে ধরেন। এমনকি ডিবির হারুন তাকে ক্রসফায়ার দেওয়ারও কথা বলেছিলেন বলে জানান তিনি।