তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান বিশ্বে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) একটি দেশের মেরুদণ্ড হিসেবে কাজ করে। প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনে এগিয়ে যেতে হলে সক্ষমতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি ২০২৫) বিকেলে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের ক্যাফেটেরিয়া ভবনে আয়োজিত ‘এক্টিভেশন প্রোগ্রাম অব ইউনিভার্সিটি ইনোভেশন হাব প্রোগ্রাম’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
সচিব বলেন, রংপুরের পীরগঞ্জে গড়ে ওঠা আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টারের ল্যাবগুলো শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতার সুযোগ করে দেবে। প্রাথমিক পর্যায়ে এখানে ৫টি ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে, যার মধ্যে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ২টি ল্যাব ব্যবহারের সুযোগ পাবে। তিনি বলেন, “সবার জন্য উন্মুক্ত করে এই সেন্টারটিকে স্থানীয়ভাবে কার্যকর করা হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শওকাত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম আমিনুল ইসলাম, ডিইআইইডি প্রকল্পের পরিচালক মঞ্জুর মোঃ শাহরিয়ার, ইনোভেশন ও স্টার্টআপ স্পেশালিস্ট ড. অনন্যা রায়হান, এবং সেন্টার ফর ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের পরিচালক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, “শুধু বইয়ের জ্ঞান নয়, আমরা প্রায়োগিক বিদ্যাশিক্ষায় গুরুত্ব দিচ্ছি। আমাদের অনেক শিক্ষার্থী ফ্রিল্যান্সিংয়ের সাথে জড়িত এবং আইটিতে ভালো করছে। ইনকিউবেশন সেন্টার ব্যবহারের মাধ্যমে তারা পড়াশোনা শেষে কর্মজীবনে দক্ষতা অর্জন করতে পারবে।” তিনি আরও বলেন, “শিক্ষার্থী ও গবেষণার জন্য ল্যাবগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করা গেলে আগামী দিনে এখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভাবন ও আউটপুট পাওয়া সম্ভব হবে।”
এর আগে সকালে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটির একটি প্রতিনিধি দল এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিনিধি দল যৌথভাবে পীরগঞ্জের আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে স্থানীয় উদ্যোক্তা এবং আউটসোর্সিং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তারা।
সেমিনারটি ভবিষ্যতের প্রযুক্তি-চালিত সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন অংশগ্রহণকারীরা।