তেমন কোনো আয়োজন ছাড়াই এবার থার্টিফার্স্ট নাইট পালন হতে যাচ্ছে কক্সবাজারে। এবার কক্সবাজারের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে নেই কোনো আয়োজন। তবে তারকা মানের হোটেলগুলো সীমিত পরিসরে আয়োজন করেছে। উন্মুক্ত স্থান কিংবা বাসার ছাদে কোনো আয়োজন না করার নির্দেশনা দিয়ে রেখেছে জেলা প্রশাসন। তবে, পর্যটকদের বরণে প্রস্তুত বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার। এবার অন্যান্য বছরের চেয়ে বেশি পর্যটক সমাগমের আশা করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। ইতিমধ্যে আগামী শনিবার পর্যন্ত শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট-গেস্টহাউসের সব কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়াতে সতর্ক আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, থার্টিফার্স্ট নাইট ঘিরে সব হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউজে শতভাগ বুকিং আছে। অনেক পর্যটক আমাদের কাছে রুম চাইলেও দিতে পারছি না। এবার অন্যান্য বছরের চেয়ে বেশি পর্যটক সমাগমের আশা করছি। ইতিমধ্যে আগামী শনিবার পর্যন্ত শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট-গেস্টহাউসের সব কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। কক্সবাজার সুগন্ধায় অবস্থিত হোটেল দি আলমের জিএম মিজান বলেন, থার্টিফার্স্ট নাইটকে কেন্দ্র করে আমাদের হোটেলের সব রুম বুকিং হয়ে গেছে। অনেকেই রুম চাইলেও আমরা দিতে পারছি না। আয়োজন না থাকলেও পর্যটকদের আগ্রহ কিন্তু কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিন।

এদিকে থার্টিফার্স্ট নাইট ঘিরে সীমিত পরিসরে আয়োজন করছে কক্সবাজারের তারকামানের হোটেল সায়মান বিচ, হোটেল ওশান প্যারাডাইস, হোটেল কক্স-টুডেসহ আরও বেশ কয়েকটি হোটেল। হোটেলের ভেতরে থাকছে কনসার্টের আয়োজন। ইতিমধ্যে হোটেলগুলো আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে। পাশাপাশি মেরিন ড্রাইভ সড়কের প্যাঁচার দ্বীপ সৈকতে ইকো ট্যুরিজম পল্লির মারমেইড বিচ রিসোর্টে সংগীতশিল্পীদের নিয়ে বর্ষবিদায় ও বরণ উৎসব হবে। হোটেল সায়মন বিচ রিসোর্টের গেস্ট রিলেশনশিপ অফিসার সোমাইয়া আকতার বলেন, থার্টি ফাস্ট নাইট ঘিরে কক্সবাজারে উন্মুক্ত স্থানে কোনো আয়োজন নেই। পর্যটকদের কথা চিন্তা করে আমরা ইনডোরে সীমিত পরিসরে আয়োজন করেছি। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে সৈকতের কোথাও উন্মুক্ত স্থানে কনসার্ট কিংবা অন্য কোনও অনুষ্ঠান থাকছে না। সৈকতে আতশবাজি, পটকা ফোটানো নিষেধ। তবে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে একাধিক তারকা হোটেল নিজেদের ইনডোরে কনসার্টের আয়োজন করছে। সেখানে নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করবে। আমরা সব বাহিনীকে সজাগ থাকার নির্দেশ দিয়েছি।

টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিওনের সহকারী পুলিশ সুপার আবুল কালাম বলেন, থার্টিফার্স্ট নাইট ঘিরে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করেছি। পর্যটক আসতে শুরু করেছে। আমাদের টহল আরও দুই গুণ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *