গত ২৭ সেপ্টেম্বর হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ এবং ইরানি কুদস ফোর্সের শীর্ষ কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্বাস নিলফোরোওশানকে দক্ষিণ লেবাননের দাহিয়েহ অঞ্চলে হত্যা করে ইসরাইল। বলা হচ্ছিল, ইসরাইলের হামলার সময় নাসরুল্লাহর সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন এই ইরানি কমান্ডার।
ইসরাইলের নির্বিচার হামলা অব্যাহত থাকায় আব্বাস নিলফোরোওশানের মরদের উদ্ধার নিয়ে ধােঁয়াশা তৈরি হয়। অবশেষে শুক্রবার (১১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে মেহর নিউজ জানিয়েছে, বৈরুতে পাওয়া গেছে আব্বাস নিলফোরোওশানের নিহত মরদেহ।
শুক্রবার ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) জনসংযোগ বিভাগ জানিয়েছে, কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্বাস নীলফরৌশনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
দাহিয়েহ অঞ্চলটি হিজবুল্লাহর ঘাঁটি হিসেবে বিবেচিত। এ কারণেই গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সেখানে হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
গত ১ অক্টোবর হাসান নাসরুল্লাহ এবং আব্বাস নিলফোরোওশানকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে ইসরাইলে প্রায় ২০০ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। এ নিয়ে বর্তমানে ইরানে হামলা চালানোর ছক কষছে তেল আবিব।
এদিকে ইরান কিংবা হিজবুল্লাহ হিজবুল্লাহর সম্ভাব্য নতুন প্রধান হাশেম সাফিয়েদ্দিনের অবস্থান নিয়ে এখনো কোনাে মন্তব্য করেনি। গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সাফিয়েদ্দিনের সঙ্গে যােগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। তার ভাগ্যে কি ঘটেছে, তা এখনো অজানা।
তবে গাজা যুদ্ধের বর্ষপূর্তিতে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, ‘আমরা হিজবুল্লাহর সক্ষমতাকে কমিয়ে দিয়েছি। আমরা হাজার হাজার সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছি। যার মধ্যে (হাসান) নাসরুল্লাহ নিজেও রয়েছেন। নাসরুল্লাহর উত্তরসূরি এবং তার উত্তরসূরির উত্তরসূরিও নিহত হয়েছেন।’ তবে পরের দুজনের নাম উল্লেখ করেননি নেতানিয়াহু।
একইদিন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টও দাবি করেন, হাসান নাসরুল্লাহর জায়গায় যার নতুন প্রধান হওয়ার সম্ভাবনা ছিল, সেই হাসেম সাফিয়েদ্দিন সম্ভবত নিহত হয়েছেন।