দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আলু আমদানি বেড়েছে। গত বৃহস্পতি ও শনিবার দুই দিনে পণ্যটি ৪ হাজার ২৯৪ টন আমদানি হয়েছে। তবে আমদানি বাড়লেও বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। বন্দরে আগের দামেই পণ্যটি বিক্রি হচ্ছে।
সাদা ডায়মন্ডের জাতের দাম ৫০ টাকা এবং লাল কার্ডিনাল জাতের আলুর দাম হাঁকা হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫৬ টাকা। অন্যদিকে খুচরা বাজারে আমদানি করা সাদা আলু ৫৭ টাকা এবং লাল আলু বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা। অর্থাৎ বন্দর থেকে বের হয়েই কেজিতে অন্তত ১০ টাকা বেড়ে যাচ্ছে দাম।
আমদানিকারকরা বলছেন, প্রতি টন আলু ভারত থেকে মানভেদে ৩৬০-৩৮০ ডলার মূল্যে আমদানি করা হচ্ছে। এতে কেজিপ্রতি দাম দাঁড়ায় ৪৩-৪৬ টাকা। সেই সঙ্গে আমদানি শুল্ক, বন্দর ও পরিবহন বাবদ আরও ৬ টাকা খরচ আছে। সব মিলিয়ে দাম পড়ছে ৪৮-৫৪ টাকা। দুই-এক টাকা লাভে বিক্রি করছেন তারা। কিন্তু বাজারে খুচরা পর্যায়ে দামে বিস্তর ফারাক। বন্দর থেকে বের হয়ে আধা কিলোমিটারের মধ্যে হিলি কাঁচাবাজারে সেই আলু কেজিতে ১০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা জানান, ভোক্তা পর্যায়ে যাওয়ার আগেই ৩-৪ হাত বদল হচ্ছে। ফলে আলুর দামে স্বস্তি মিলছে না।
এদিকে বাজারে দেশি আলুর সরবরাহ চোখে পড়েনি। বিক্রেতারা বলছেন, বীজ আলু সংকটের কারণে দেশি আলুর সরবরাহ নেই। হিমাগারে সংরক্ষিত আলু বীজ হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক নুরুল ইসলাম জানান, আগের তুলনায় আমদানি বেড়েছে। বন্দরের আলু ৩-৪ হাত বদল হয়ে খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে। এতে অন্তত কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে যাচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক বলেন, এরইমধ্যে ভারতে নতুন আলু উঠতে শুরু করেছে। প্রচুর এলসি খোলা আছে। আমদানি আরও বাড়বে। দাম নিয়ন্ত্রণে আসতে আরও অন্তত সপ্তাহখানেক সময় লাগবে বলে মনে করেন তিনি।
হিলি স্থলবন্দরের তথ্যমতে, চলতি বছরের শুরু থেকে গতকাল শনিবার পর্যন্ত ১ হাজার ৯৪টি ভারতীয় ট্রাকে ২৮ হাজার ২৮৮ টন আলু আমদানি হয়েছে।