ভোলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সিএনজি চালক ও বাস শ্রমিকদের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে দুটি বাস ও পাঁচটি সিএনজিতে অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ শ্রমিক এবং সিএনজি চালকরা। এতে আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাস টার্মিনালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে শ্রমিকদের ওপর হামলা ও বাসে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে জেলার অভ্যন্তরীণ সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বাস মালিক সমিতি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাস টার্মিনালের ভেতর থেকে অবৈধ যানবাহন ও স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সিএনজি চালক ও বাস শ্রমিকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাঁধে। এ ঘটনায় সিএনজি চালক ও বাস শ্রমিকরা একে অপরকে দায়ী করে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন।
এদিকে, বাস টার্মিনাল সংলগ্ন ফায়ার সার্ভিসের অফিস দমকলকর্মীরা প্রায় ১ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। একই সময়ে পুলিশ নৌবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে বাস টার্মিনালের দুইপাশে দুই গ্রুপ অবস্থান নিয়ে মুখোমুখি থাকায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার না করা পর্যন্ত জেলা অভ্যন্তরীণ রুটে সকল বা চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়ে বাস মালিক সমিতির যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির সেলিম জানান, বাস মালিক সমিতির পৌরসভার থেকে ইজারা নিয়ে ডিপো হিসেবে ব্যবহার করছে। পৌর কর্তৃপক্ষ অবৈধ পরিবহন ও স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যার পর সিএনজি চালকরা বহিরাগতদের নিয়ে হামলা চালিয়ে বাসে আগুন লাগিয়ে দেয়।
অন্যদিকে, অটোরকিশা ও হালকাযান শ্রমিক সমিতির সভাপতি মাকসুদুর রহমান জানান, তাদেরকে উচ্ছেদের জন্য কোন নোটিশ না করে বাস শ্রমিকরা হামলা করে তাদের সিএনজিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় তাদের আহত ৬ জন ভোলা সদর হাসপাতাল ও একজন বরিশাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে বলে দাবি করেনে তিনি।
সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিপন চন্দ্র সরকার জানান, পুলিশ ও নৌবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ক্ষয়ক্ষতির তালিকা হচ্ছে। সাধারণের চলাচলের নিরাপত্তা দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।