পূর্ব ইউরোপের দেশ মলদোভায় উত্তেজনাপূর্ণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নপন্থি ক্ষমতাসীন মাইয়া সান্ডু। রাশিয়া সমর্থিত দল হিসেবে পরিচিত প্রতিদ্বন্দ্বী সােশ্যালিস্ট পার্টির আলেকজান্ডার স্টোইয়ানোগ্লোকে হারিয়েছেন তিনি।
জয়ের পর রাশিয়ার প্রতি ইঙ্গিত করে এ জয়কে ‘গণতন্ত্রের পাঠ’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন মাইয়া।
সোমবার (৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে ফ্রান্স ২৪।
একসময় মালদোভা সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভূক্ত ছিল। মলদোভার অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে মস্কোর হস্তক্ষেপের অভিযোগ রয়েছে। সাম্প্রতিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাধ্যমেই নির্ধারিত হওয়ার কথা, দেশটি ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দেবে নাকি রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ হয়ে থাকবে।
নির্বাচন কমিশন দ্বারা প্রকাশিত প্রায় সম্পূর্ণ ফলাফল অনুসারে, রাশিয়ান সমর্থিত আলেকজান্ডার স্টোইয়ানোগ্লোর পক্ষে ৪৫.০৬ শতাংশ ভোটের বিপরীতে সানডু ৫৪.৯৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। আলেকজান্ডার এক সময় মালদোভার প্রসিকিউটর জেনারেল ছিলেন এবং যাকে সান্দু গত বছর বরখাস্ত করেন৷
নির্বাচনের আগে থেকে মাইয়া সান্ডু ২০৩০ সালের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের জন্য মলদোভার প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে স্টোইয়ানোগ্লো বলছেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনিও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যোগদানের বিষয়টিকে সমর্থন করেন। তবে জাতীয় স্বার্থে তিনি রাশিয়ার সঙ্গেও সম্পর্ক গড়ে তুলবেন।
গত ২০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত মলদোভার প্রথম রাউন্ডের নির্বাচনে মাইয়া সান্ডু ৪২ শতাংশ ভোট পেয়ে সবার চেয়ে এগিয়ে থাকলেও নিয়ম অনুযায়ী তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য ৫০ শতাংশ ভোট পেতে ব্যর্থ হন। অন্যদিকে প্রথম রাউন্ডে ২৬ শতাংশ ভোট পেয়ে সান্ডুর সঙ্গে দ্বিতীয় রাউন্ডের নির্বাচনে টিকে যান স্টোইয়ানোগ্লো। তবে দ্বিতীয় দফার ভোটে উতরে গেলেন মাইয়া সান্ডু।
৩০ লাখ জনসংখ্যার মলদোভা এই নির্বাচনি ফলাফল বলছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখার পক্ষে ভোট দিয়েছে দেশটির জনগণ।