সম্প্রতি সংস্কার হওয়া মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে ফের আলোচনা শুরু হয়েছে মন্ত্রণালয়ে। অন্তর্বর্তী সরকারে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম (বীর প্রতীক) বলেছেন, যারা ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে, ক্ষমতা দেখিয়ে কোটা সুবিধা নিয়ে চাকরি পেয়েছে তাদের বের করে চাকরি বাতিল করা হবে।
ধারণা করা হচ্ছে এরই অংশ হিসেবে সরকারি চাকরিতে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে এখন পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ পাওয়া কর্মচারীদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য জানতে চেয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর সচিব/সিনিয়র সচিবদের কাছে এ তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে।
চিঠিতে মন্ত্রণালয়গুলোকে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ করা জনবলের তথ্য পাঠাতে একটি ছক করে দেয়া হয়েছে। ছক অনুযায়ী প্রার্থীর নাম, নিয়োগপ্রাপ্ত পদ ও শ্রেণি; বাবার নাম ও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা, যার মুক্তিযোদ্ধা সনদ/গ্যাজেটের পরিপ্রেক্ষিতে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন (পিতা/মাতা/পিতামহ/মাতামহ) তার নাম ও ঠিকানা; মুক্তিযোদ্ধার নাম, পিতা/মাতা/পিতামহ/মাতামহের মুক্তিযোদ্ধা সনদ ও গেজেট নম্বর এবং নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার তারিখ জানাতে হবে।
অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাকে সনদ দেয়া হয়েছে। সেই সনদ দিয়ে অনেকে চাকরি নিয়েছেন। অন্তর্বর্তী সরকার এ বিষয়টি খতিয়ে দেখার পদক্ষেপ নিয়েছে।
এর আগে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম (বীর প্রতীক) বলেছেন, সব ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করা হবে।