রাজস্থান রয়্যালসকে বিদায় করে দ্বিতীয় দল হিসেবে আইপিএলের ফাইনালে চলে গেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। এর আগে প্রথম কোয়ালিফায়ারে এই হায়দরাবাদকে হারিয়েই প্রথম দল হিসেবে ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স।
আজ দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে আগে ব্যাট করে রাজস্থানকে ১৭৬ রানের লক্ষ্য দেয় হায়দরাবাদ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থান করতে পেরেছে ১৩৭ রান। এতে ৩৬ রানে জয় পেয়েছে হায়দরাবাদ।
১৭৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করেছিলেন রাজস্থানের ওপেনার যসস্বি জয়সওয়াল। কিন্তু দলীয় ২৪ রানের মাথায় সঙ্গী টম কোলার কদমোরকে (১৬ বলে ১০) হারান তিনি। এরপর ঝোড়ো ব্যাটিং শুরু করেন জয়সওয়াল। ২১ বলে ৪২ রান করা এই মারকুটে ব্যাটারকে থামিয়ে দেন শাহবাজ আহমেদ।
অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনও বেশিক্ষণ মাঠে থাকতে পারেননি। ১১ বলে ১০ করে অভিষেক শর্মার বলে আউট হয়ে ফেরেন রাজস্থান কাপ্তান।
৯২ রানে ৬ উইকেট হারায় রাজস্থান। এরপর দলের হয়ে একা লড়াই করেন ধ্রুব জুরেল। ফিফটি করে ফেলেন তিনি। তবে তার হাফসেঞ্চুরি কোনো কাজে আসেনি রাজস্থানের। ৩৫ বলে ৫৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেললেও ততক্ষণে সময় শেষ। ওভার ফুরিয়ে যাওয়ায় হতাশা নিয়েই ফিরতে হয় জুরেলকে।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই মারকুটে ব্যাটার অভিষেক শর্মাকে হারায় হায়দরাবাদ। ঝড় তুলতে যাওয়া এই ব্যাটারকে ১২ রানে (৫ বলে) থামিয়ে দেন ট্রেন্ট বোল্ট। প্রথম ওভারের শেষ বলে তাকে টম কোহলার কাদমোরের ক্যাচ বানান বোল্ট।
এরপর দ্রুতগতিতে রান তুলে দ্বিতীয় উইকেটে ২১ বলে ৪২ রানের জুটি করেন ট্রাভিস হেড ও রাহুল ত্রিপাতি। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ১৫ বলে ৩৭ করা ত্রিপাতিকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান বোল্ট। চারে নামা ব্যাটার এইডেন মার্করামকে ১ রানের বেশি করতে দেননি রাজস্থানের এই কিউই পেসার। অর্থাৎ প্রথম তিন উইকেটই নেন বোল্ট।
৫৭ রানে ৩ উইকেট চলে যাওয়ায় এদিন ধৈর্য নিয়ে খেললেও স্কোর বেশি বড় করতে পারেননি হেড। ২৮ বলে ৩৪ রান করেন তিনি। সন্দ্বীপ শর্মার বলে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের হাতে ক্যাচ হন হেড। আউট হওয়ার আগে হেনরিখ ক্লাসেনের সঙ্গে ৪২ রানের আরও একটি জুটি করেন তিনি।
দলকে ভালো একটি সংগ্রহ এনে দেওয়ার জন্য দারুণ চেষ্টায় ছিলেন ক্লাসেন। দলের হয়ে একমাত্র ফিফটি হাঁকান তিনি। যখন ঝড় তুলবেন, তখনই (১৮.১ ওভারে) আউট হয়ে যান মারকুটে এই ব্যাটার। সন্দ্বীপের বলে বোল্ট হওয়ার আগে ৩৪ বলে ৫০ রান করেন ক্লাসেন।
আর শেষ দিকে ইমপ্যাক্ট সাব হিসেবে নেমে ১৮ বলে ১৮ রান করেন শাহবাজ আহমেদ। এতে হায়দরাবাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৭৫ রান। রাজস্থানের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট ও আভেশ খান।