রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র অবস্থিত শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সীরাত মাহফিল অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। সীরাত মাহফিলের আলোচক বৃন্দ- মুফতি আবদুল মালেক সাহেব (দা.বা.) খতিব,জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম, ঢাকা; আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক( হাফিঃ)- পরিচালক, আদ-দাওয়াহ ইলাল্লাহ এবং আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনান ( হাফিঃ)- পরিচালক, ত্ব-হা যিন নূরাঈন ইসলামিক সেন্টার; রাসুলুল্লাহ সাঃ এর জীবনীর উপর বক্তব্য রাখেন। দুপুর ২ থেকে রাত ৮ পর্যন্ত ২ পর্বে আলোচনা হয়। প্রথম পর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি এবং দ্বিতীয় পর্বে আলোচক বক্তব্য পেশ করেন।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফ বলেন, আলহামদুলিল্লাহ আমার ছাত্ররা এরকম একটা ইসলামিক আলোচনার আয়োজন সফল ভাবে আয়োজনে সক্ষম হয়েছে। যা আজ থেকে ছয় মাস আগে কখনো আয়োজন করা তো দূরের কথা কল্পনাও করা যেত না। আজকের এই সীরাত মাহফিল থেকে আমাদের হেদায়েত হতে হবে। নামাজ পড়তে হবে।আল্লাহ, রাসুল সাঃ দেখানো পথ অনুসরণ করতে হবে। তাহলেই আজকের এই সীরাত মাহফিলের আয়োজন সার্থক হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. বেলাল হোসেন বলেন, সবকিছুর মধ্যেই যেন একটা নতুনত্ব এসেছে। যার কারণে আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠানে এত সুন্দর ইসলামিক আলোচনার আয়োজন করে পেরেছি। এই সীরাত মাহফিল আয়োজন পিছনে যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তাদের ধন্যবাদ। শুধু তাই নয় আল্লাহ সুবহানাল্লাহ তায়ালা তোমাদের এজন্য উত্তম জাজা প্রদান করুন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, দেশের পরিবর্তন আমরা আজকের এই সীরাত মাহফিল আয়োজনের মধ্যে দেখতে পাই।গত কয়েকমাস আগে এরকম আয়োজন বাস্তব করা পরের বিষয় ভাবতে গেলেও বিভিন্ন ট্যাগ দিয়ে দিতো।এজন্য আলহামদুলিল্লাহ আমরা বর্তমানে আল্লাহ ও রাসুলের দিন প্রতিষ্ঠায় ইসলামিক আয়োজন করতে পারছি।
কৃষি অনুষদ লেবেল ২-এর সাধারণ শিক্ষার্থী মুনতাসিরুল ইসলাম নাঈম বলেন, আমাদের বর্তমান তরুন প্রজন্মের জন্য এইরকম ইসলামিক মনোভাব এবং প্রোগ্রাম খুবই প্রয়োজন, এরকম আলোচনা অনুষ্ঠানে শুধুমাত্র ইসলামিক জ্ঞান ই নয়, বরং নিজেকে কিভাবে কোন পথে পরিচালিত করলে সফলতার দিকে অগ্রসর হওয়া যাবে, দেশ ও জাতিকে পূর্নাঙ্গ নাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা যাবে এবং পুরো মুসলিম বিশ্ব কিভাবে তাদের হারানো গৌরব ও সৌহার্দ্য ফিরে পাবে সে সম্পর্কেও অবহিত হওয়া যাবে।
এছাড়া একই অনুষদ ও লেভেলের শিক্ষার্থী সাদমান আকবর বলেন, আমাদের গোলামীর প্রধান কারন আমাদের ন্যায়পরায়ণহীনতা ও দাসত্ব মনোভাব। মাঝেমধ্যে ইসলামিক আলোচনার আয়োজন করলে আমাদের মধ্যে আল্লাহ ভীতি তৈরিতে কাজ করবে।

এছাড়াও সীরাত মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর ড. মুহাম্মদ আরফান আলি, ছাত্রপরামর্শ ও পরিচালক ড. মুহাম্মদ আসাবুল হক সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *