রাজধানীর বেইলি রোডের ইফতার বাজারের সুনাম দীর্ঘদিনের। অভিজাত এই ইফতারের জন্য আশপাশের এলাকার মানুষ ভিড় জমান এখানের খাবারের দোকানগুলোতে। গ্রিন কজি কটেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর এর বিরূপ প্রভাব পড়ে এসব দোকানে। যদিও ১০ রমজানের পর ক্রেতা বাড়তে শুরু করে অভিজাত এই রোডে। তবে এই ইফতার বাজারের সুনাম থাকলেও চড়া দামের অভিযোগ রয়েছে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) বেইলি রোড ঘুরে দেখা গেছে, বাহারি ধরনের ইফতারের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। নগরীর বাংলামটর, শান্তিনগর, মগবাজার, রামপুরা, বাড্ডা, মালিবাগ থেকে ইফতার সামগ্রী কিনতে আসছেন ভোজনরসিকরা।
বেইলি রোডের ইফতারের দোকানগুলোতে ছোলা-পেঁয়াজু থেকে শুরু করে মাংস-পরোটা সবই মেলে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের চপ, কাবাব, খাসির হালিম, খাসির গ্রিল চাপ, গরুর চাপ, কাচ্চি বিরিয়ানি (খাসি), ফিরনি, খাসির লেগ রোস্ট, বোরহানি, চিকেন রোস্ট (আস্ত), চিকেন ফ্রাই, চিকেন সমুচা, চিকেন ললি, জালি কাবাব, শিক কাবাব, ভেজিটেবল রোল, স্প্রিং রোল, কিমার চপ, পেঁয়াজু, বেগুনি, বেসন চপ, ছোলা, বাসমতির জর্দা, বুন্দিয়া, হালিম, দইবড়া, সুতি কাবাব, রেশমি কাবাব ও কিমা পরোটা এখানে খুবই জনপ্রিয়। ব্যবসায়ীরা জানান, বেইলি রোডে চিকেন সিঙ্গারা ৬০ টাকা, চিকেন কিমা পরটা ৬০ টাকা, সামি কাবাব ৪০ টাকা, চিকেন টোস্ট ৩০ টাকা, কাটলেট ৯০ টাকা, লেগপিস ৯০ টাকা, ফিস ফিঙ্গার ৭০, বারবিকিউ উইংস ৫০ টাকা, গরুর তেহারি ২৯০, মোরগ পোলাও ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আশপাশের এই দোকানগুলোতে সুস্বাদু কাবাব আইটেমসহ ১০০ ইফতার পণ্য বিক্রি করছেন তারা।
বেইলি রোডের ক্যাপিটাল ইফতারির বাজার, জাগরীর রেস্টুরেন্ট ছাড়াও কেক টাউন, মি. ব্রেকারের হক রেস্টুরেন্টেও ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। হক রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড বেকারির সামনে দেখা যায়, এখানে বিক্রি হচ্ছে গরু-মুরগি ও খাসির মাংসের কাবাব। সর্বনিম্ন ১২০ টাকা থেকে শুরু করে এসব কাবাব বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়। এছাড়া হালিম বিক্রি হচ্ছে ২০০-১০০০ টাকা পর্যন্ত। এই রাস্তার পাশে জুস দোকানগুলোতে আনারস, পাকা পেঁপে, আঙুর, বেদানা, কলা, মাল্টা, তরমুজ, কমলা, আপেলের জুস পাওয়া যাচ্ছে। এসব জুস গ্লাস প্রতি ৬০-৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।