দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে গত এক সপ্তাহ থেকে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়ে বন্দর অভ্যন্তরে পাইকারি পর্যায়ে কেজিতে ১০ টাকা দাম কমেছে। আগে প্রতিদিন গড়ে ৩০-৩৫ ট্রাক আমদানি হলেও এখন সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০-৭০ ট্রাকে।
ব্যবসায়ীরা জানান, ভারতের বাজারে নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। ফলে সে দেশের সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে সে দেশের ব্যবসায়ীরা টন প্রতি ২০-৩০ ডলার কমে রপ্তানি করছেন। সেই সঙ্গে দেশের বাজারে কৃষকের উৎপাদিত পাতা পেঁয়াজ বাজারে উঠতে শুরু করেছে। যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এক সপ্তাহ আগে যে পেঁয়াজ বন্দরে পাইকারি পর্যায়ে ৭০-৮০ টাকা দরে বিক্রি হতো এখন সেই পেঁয়াজ মানভেদে ৬০-৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম জানান, কিছুদিন আগেও ভারত ৪৪০ ডলার মূল্যে পেঁয়াজ রপ্তানি করেছে। আর এখন ৪১০ ডলারে রপ্তানি করছে। যার প্রভাব বন্দরে পড়তে শুরু করেছে।
তিনি জানান, কেজিতে পাইকারি পর্যায়ে ১০ টাকা দাম কমলেও খুচরা পর্যায়ে মাত্র ৫ টাকা দাম কমেছে। আগে যে পেঁয়াজ ৯০ টাকা দরে বিক্রি হতো তা এখন ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন শিল্পী জানান, দেশের বাজারে দাম সহনীয় রাখতে প্রচুর এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) খোলা হয়েছে। আমদানি অব্যাহত থাকলে সপ্তাহ খানেক পরে আরও দাম কমে আসবে।
হিলি স্থলবন্দরের তথ্যমতে চলতি বছরে ১ হাজার ৮৮৪টি ভারতীয় ট্রাকে ৬০ হাজার ৭১০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।