এবার লেবানন থেকে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের দিকে ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে বিমান হামলার সাইরেন সক্রিয় করা হয়েছে।

এর আগে ইরান থেকে কয়েকশ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন দিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালানো হয়। গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইরান।

সম্প্রতি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে ১৩ জনকে হত্যার প্রতিক্রিয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তেহরান। দামেস্কে গত ১ এপ্রিলের ওই হামলার পরপরই কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল তারা।

তবে শনিবার রাতে হামলায় অংশ নেওয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন তাদের লক্ষ্যে পৌঁছানোর আগেই প্রায় সবগুলো অস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করেছে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র এবং এর মিত্রবাহিনী।

ইরানের ছোড়া ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্রের ৯৯ শতাংশই ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইসরায়েল। তবে এই হামলায় মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এদিকে ইরানের হামলার পর থেকেই চাপে আছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ইরানের হামলার জবাব কিভাবে দেওয়া হবে সে বিষয়ে দেশের অভ্যন্তরে এবং দেশের বাইরে থেকে তার ওপর চাপ বাড়ছে। সবকিছু মিলিয়ে বেশ জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশ থেকেই নেতানিয়াহুর ওপর চাপ বাড়ছে। একই সঙ্গে তার জোট সরকারের মধ্য থেকে যারা তাকে ক্ষমতায় বসিয়েছেন তারা এই মুহূর্তে তার ওপর চাপ বাড়াচ্ছেন। তারা ইরানের বিরুদ্ধে সরাসরি এবং কঠোর প্রতিক্রিয়া চান। সে কারণে নেতানিয়াহুকে পরবর্তী পদক্ষেপ খুব ভেবে-চিন্তেই গ্রহণ করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *