লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাটের বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মীর মাসুদ আলমকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। রোববার (৭ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে মাসুদ রায়পুর থানায় মহিন নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। মহিন মেয়র রুবেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। এর আগে শনিবার (৬ এপ্রিল) রাতে মেয়রের রায়পুর গাজী কমপ্লেক্সের ব্যক্তিগত কার্যালয়ের নিচ থেকে ডেকে পাশের মন্দিরের ভেতরে নিয়ে মাসুদকে মারধর করা হয়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন।

ভুক্তভোগী মাসুদ রায়পুর পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও পৌরসভার পূর্বলাচ এলাকার মো. শাহজাহানের ছেলে। এছাড়া তিনি রায়পুর ব্লাড ডোনেট ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা। ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এ ক্লাবে ৯০০ রক্তদাতা রয়েছেন। অভিযুক্ত মহিন রায়পুর পৌরসভার দেনায়েতপুর এলাকার বয়াতি বাড়ির মৃত বাবুল মিয়ার ছেল।

আহতের অভিযোগ ও স্থানীয় স্থানীয় সূত্র জানায়, মাসুদ ফেসবুকে শনিবার বিকেল একটি স্ট্যাটাস দেন। এতে তিনি লেখেন, ‘রায়পুর পৌরসভার মেয়র রুবেল ভাটের নির্বাচনের সময় সহযোগী সংগঠনের প্রয়োজন হয়। আর এখন ভিজিএফ চালের কার্ড বিতরণে সহযোগী সংগঠনকে চেনেন না।’

এরপর এক ব্যক্তির অনুরোধে মাসুদ ফেসবুক স্ট্যাটাসটি মুছে ফেলেন। কিন্তু রাত সাড়ে ৯টার দিকে মেয়রের ‘ক্যাডার’ হিসেবে পরিচিত স্থানীয় বয়াতি বাড়ির মহিন হোসেন ফোন করে মাসুদকে মেয়রের অফিসের নিচে আসতে বলেন। সেখানে আসলে তাকে পাশের মন্দিরের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় মেয়র রুবেল ভাটের বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার কারণ জানতে চেয়ে মাসুদকে এলোপাথাড়ি মারধর করেন। হামলাকারী মহিন হোসেন বলেন, আমার টিকটকে সে বাজে কমেন্টস করায় তাকে ডেকে এনেছি। মাসুদের সঙ্গে আমার ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। পরে দেখি সে রক্তাক্ত।

আহত মীর মাসুদ আলম বলেন, টিকটকের কোনো ঘটনাই নেই। মেয়রের স্ট্যাটাসের কথা বলেই আমাকে পিটিয়েছে। ঘটনার পরই আমি থানায় গিয়ে ওসিকে দেখিয়েছি। মহিনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। রায়পুর পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট বলেন, হাসপাতালে গিয়ে মাসুদকে আমিও দেখে এসেছি। হামলাকারী মহিনকে আমি ডেকে জেনেছি, টিকটক নিয়ে তাদের দ্বন্দ্ব। মাসুদের ফেসবুক স্ট্যাটাস দেখার সময়ইবা আমার কই?

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াসিন ফারুক মজুমদার বলেন, আহত মাসুদ থানায় এসে ঘটনাটি আমাকে জানিয়েছে। তিনি লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *